সদ্যপ্রাপ্ত :
ডিইউজে নির্বাচনে শহিদ-খুরশীদ পূর্ণ প্যানেল বিজয়ী নাঙ্গলকোটের তুলাতুলি উচ্চ বিদ্যালয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন আর নেই জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে নাঙ্গলকোটে দোয়া মাহফিল ও বস্ত্র বিতরণ নাঙ্গলকোটে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, জোর পূর্বক উচ্ছেদ চেষ্টা নাঙ্গলকোটে সেপটিক ট্যাংকে বৃদ্ধের লাশ, ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় উদ্ধার নাঙ্গলকোটে বিএনপির সাংগঠনিক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান নাঙ্গলকোটে অর্ধশত বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসার ভবন ভেঙ্গে জায়গা দখলের অভিযোগ নাঙ্গলকোট উপজেলা ও পৌরসভা যুবদল নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল নাঙ্গলকোটে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান মাওলানা আবু বকরকে সংবর্ধনা ও শুকরিয়া অনুষ্ঠান হাজার-হাজার মানুষের অংশগ্রহণে সাংবাদিক সায়েম মাহবুবের দাফন সম্পন্ন
নাঙ্গলকোটে অর্ধশত বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসার ভবন ভেঙ্গে জায়গা দখলের অভিযোগ

নাঙ্গলকোটে অর্ধশত বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসার ভবন ভেঙ্গে জায়গা দখলের অভিযোগ

কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী :

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার বাতুপাড়া গ্রামে অর্ধশত বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত বাতুপাড়া আজিজিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা পরিকল্পিত ভাবে ভবন ভেঙ্গে মাদরাসাটি বিলুপ্ত করে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মৃত মাওলানা শফিকুর রহমানের ছেলে হাফেজ মাওলানা নূরুল হুদা আনসারির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে মাদরাসা সংলগ্ন সড়কে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু জাফর, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি হারুন অর রশিদ ভূঁইয়া, মাদরাসা সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম মজুমদার, মাদরাসার সাবেক অর্থ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন শামছুল হক মজুমদার, সমাজ সেবক আব্দুল গফুর, আবু তৈয়ব প্রমূখ।

জানা যায়, বাতুপাড়া গ্রামের মৃত মাওলানা শফিকুর রহমান প্রায় ৫০ বছর পূর্বে নিজের কিছু জমি ওয়াকফ করে বাতুপাড়া আজিজিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদরাসায় জমি দানের রেজিস্ট্রি দলিলে তিনি শর্ত লিখেন মাদরাসাটি কোন সময় বন্ধ হয়ে গেলে ওয়াকফকৃত সম্পত্তি পুন:রায় তার ওয়ারিশানদের চাষাবাদে ফিরে যাবে। এ শর্তের বিষয়ে অবগত হয়ে মাদরাসাটি বিলুপ্ত করার প্রাথমিক চেষ্টা হিসেবে একমাত্র ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে তার ছেলে হাফেজ মাওলানা নূরুল হুদা আনসারি। এঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।

অভিযুক্ত হাফেজ মাওলানা নূরুল হুদা আনসারি বলেন, ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় গ্রামবাসীর মতামত নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছি। পরে আমি ভেঙ্গে ফেলা ভবনের পাশে আরেকটি ঘর করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছি। কিন্তু স্থানীয় কিছু লোক পূর্বের স্থানে ঘর তোলার দাবি করায় কাজ শুরু করতে পারিনি। পূর্বের স্থানে মাদরাসা প্রতিস্থাপন করতে সমস্যা কোথায়? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আগে মাদরাসা যেখানে ছিলো সেখানে গ্রামবাসী ঈদগাহ করতে চায়, তাই ওই স্থানে করা সম্ভব নয়।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আবু জাফর বলেন, মাদরাসাটি ভেঙ্গে ফেলার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে এসে দেখি এলাকার লোকজনের মাঝে খুব উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরে নূরুল হুদাকে ডেকে আনলে সে পুনঃরায় মাদরাসা ঘরটি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে লোকজন শান্ত হয়। কিন্তু এখন সে পূর্বের স্থানে না করে অন্য স্থানে ঘর করতে চাওয়ায় আমরা রাজি হইনি। আমরা চাই মাদরাসা যেখানে ছিল সেখানেই যেন প্রতিস্থাপন হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায় : বি-কেয়ার আইটি, বাপ্পি মজুমদার ইউনুস #01711-286173