কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার পূর্ব দৈয়ারা গ্রামে প্রতিপক্ষের মালিকানাধীন চলাচলের রাস্তায় জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ ও চলাচলে বাধা প্রদান করে ১৫ পরিবারের প্রায় শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের প্রভাবশালী মাস্টার জাকের হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় রাস্তার জমির মালিক ও অন্যান্য ভূক্তভোগীরা প্রতিবাদ করায় তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র হাতে নিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি এবং উল্টো ভূক্তভোগীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং মামলা করে মাস্টার জাকের হোসেন হয়রানি করে আসছে বলে দাবি করেন ভূক্তভোগীরা।
স্থানীয় ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের অশ্বদিয়া গ্রামের শাহজামান ভূঁইয়া পৌরসভার পূর্ব দৈয়ারা গ্রামের মৃত আফজাল মিয়ার নিকট থেকে ১৯৮৯ সালে বিএস ৪৩৭নং দাগে জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে। আফজাল মিয়ার কাছ থেকে ক্রয়কৃত জমির দলিলে শর্ত লিখা থাকে বিক্রেতার জমির উপর দিয়ে ক্রেতার চলাচলের রাস্তা থাকবে। জমি ক্রয় করার কয়েক বছর পর ক্রেতা শাহজামান ভূঁইয়া জানতে পারে তাদের চলাচলের রাস্তার কিছু অংশ পাশ্ববর্তী বাড়ির মাস্টার জাকের হোসেন ভূঁইয়ার নামে রেজিষ্ট্রি দলিল আছে। পরে উপায় আন্তর না দেখে শাহজামান ভূঁইয়া মাস্টার জাকের হোসেনের সাথে চলাচলের রাস্তা নির্বিঘœ করতে ৩৭ সেন্ট জমি এওয়াজ বদল করে। ১বছর পূর্বে পিতার রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলের শর্ত অস্বীকার করে জমি বিক্রেতা মৃত আফজাল মিয়ার ছেলেরা চলাচলের রাস্তার কিছু অংশ নিজেদের বলে দাবি করে। এ ঘটনায় স্থানীয় পৌর মেয়র আব্দুল মালেক, কাউন্সিলর জহিরুল্লাহ মজুমদার সুমন ও সমাজপতিদের নিয়ে ২লাখ টাকা দিয়ে বিক্রেতার ছেলেদের সাথে শাহজামান ভূঁইয়ার মাঝে আপোষ মিমাংশা হয়। আফজাল মিয়ার ছেলেদের কাছ থেকে রাস্তার এ অংশটি ক্রয় করতে না পেরে ক্ষোভের বসে এওয়াজ দলিলের শর্ত ভঙ্গ করে মাস্টার জাকের হোসেন ভূঁইয়া ৮-১০জন লোক নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র-সহ রাস্তায় চলাচলকারীদের বাধা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে মাস্টার জাকের ভূক্তভোগীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও আদালতে মামলা করে হয়রানি করে আসছে। এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় আপোষ মিমাংশা হলেও মাস্টার জাকের রাস্তাটি চলাচলে উপযোগী করে দেয়নি বলে জানান ভূক্তভোগীরা।
ভূক্তভোগী শাহজামান ভূঁইয়া বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমির দলিলের শর্ত, এওয়াজ দলিল ও পরবর্তীতে জমি বিক্রেতার ছেলেদের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের কাছ থেকে পুনঃরায় রাস্তার জমি ক্রয় করার মাধ্যমে রাস্তাটি নিষ্কন্টক হয়। কিন্তু মাস্টার জাকের হোসেন ভূঁইয়া জোর পূর্বক আমার ক্রয়কৃত রাস্তায় চলাচলে বাধা দিয়ে আমাদেরকে চরম কষ্টে পেলে দিয়েছে। এছাড়াও মাস্টার জাকের ও তার লোকজন আমাদেরকে রাস্তায় চলাচলে অস্ত্রশস্ত্র হাতে বাধা দেয় এবং পরবর্তীতে আমি-সহ আমার প্রতিবেশী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান, মাহফুজ, মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ সাকিবকে আসামী করে কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করে হয়রানি করে আসছে। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Leave a Reply