নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আপত্তিকর অবস্থায় তাসলিমা আক্তার নামে এক নারীকে পরকীয়া প্রেমিক-সহ আটক করে স্বামী। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে মাঝরাতে স্বামীকে নিঃশর্ত ভাবে তালাক দিতে বাধ্য হয় ওই নারী। পরকীয়া প্রেমিক-সহ আটক হওয়া তাসলিমা উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের ভুলুয়াপাড়া গ্রামের মাস্টার মাকসুদুর রহমানের মেয়ে ও পরকীয়াকালে হাতেনাতে আটক প্রেমিক রুবেল হোসেনের বাড়ি পাশ্ববর্তী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর এলাকায় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ভুলুয়াপাড়া গ্রামের মাস্টার মাকসুদুর রহমানের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের সাত বছর পূর্বে বিয়ে হয় একই জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার হাজারীপাড়া গ্রামের আব্দুল্লার সাথে। তাছলিমা ১০দিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত বুধবার সকালে হঠাৎ স্বামী তার স্ত্রীকে না জানিয়ে শ্বশুর বাড়িতে এসে স্ত্রী তাছলিমাকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর এলাকার রুবেল হোসেন নামে এক যুবকের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। স্বামী আব্দুল্লাহ ভুলুয়াপাড়া গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক-সহ স্ত্রী তাছলিমাকে দিনভর আটক করে রাখে।
পরে একই দিন রাতে ভুলুয়াপাড়া গ্রামের শত-শত মানুষের সামনে উভয় পক্ষের আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে বিষয়টি প্রমাণ হওয়ায় তাৎক্ষণিক তাছলিমা তার স্বামীকে সকল পাওনা বুঝে পেয়েছে মর্মে স্বীকৃতি দিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর করে। তালাক হওয়ার পর তাছলিমা তার পাঁচ ও তিন বছরের দুটি অবুঝ কন্যা শিশুকে নিজের কাছে রাখতে পারবেনা বলে জামাকাপড় পলিথিন ব্যাগে ঢুকিয়ে উপস্থিত সকলের সামনে নিয়ে আসে। পরে সকলের সিদ্ধান্তে মেয়ে গুলো মাকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য বাবার সাথে চলে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
তালাকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্টার কাজী শাহজালাল অপু।
Leave a Reply