নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের গান্দাচী মধ্যমপাড়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীর মালিকানাধীন সীমানা প্রাচীর ঘেরা জায়গা জোর পূর্বক দেয়াল ভেঙ্গে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে মহসিন, ফরিদ ও মুসলিমুর রহমানের ছেলে দুলাল মিয়া-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষ বেকু মেশিন দিয়ে জায়গাটির সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা শুরু করলে ভুক্তভোগীরা নাঙ্গলকোট থানায় ফোন করে অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় পুলিশের বাধার মুখে তারা ভাংচুর বন্ধ করে। জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের গান্দাছি গ্রামের মোহাম্মদ আলী গান্দাছি মৌজায় কয়েকটি সাফ কবলা দলিল মূলে সাবেক ২০২ হালে ৩২৭ দাগে ৬৩ শতক আন্দরে ১৭.৭৫ শতক জমিন ২০০৮ সাল থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক ও দখলদার হন। কিন্তু একই গ্রামের মহসিন ও দুলাল-সহ কয়েকজন জায়গাটি নিজেদের দাবি করে দখল করে নেয়ার পায়তারা করে আসছে। বৃহস্পতিবার সকালে মহসিন, দুলাল হাসানুজ্জামান, সুমন, রবিউল হক, ইউনুসসহ ১৫-২০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র সহ বেকু মেশিন নিয়ে জায়গাটি দখল করার জন্য সীমানা প্রাচীর ভাংচুর চালায়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জমি রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলী।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দিন বলেন,এটা আমাদের জায়গা। সে ২০১৩ সালে কোর্টের মাধ্যমে নিয়ে যায়। সে কোন জায়গার মালিক না, সে মধুর আলী বা বাদশা মিয়ার ও কিছু না।
বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন আগে থেকে জায়গাটা নিয়ে মোহাম্মদ কাকার সাথে সমস্যা। কাগজপত্র অনুযায়ী সালিশে ২০১১ সালে মোহাম্মদ কাকার পক্ষে রায় হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের নামে বিএস খতিয়ান হওয়ায় মোহাম্মদ কাকা এ নিয়ে মামলা করেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে এতটুকুই জানি।
নাঙ্গলকোট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply