কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের দক্ষিণ শ্রীহাস্য গ্রামের শ্রীহাস্য-পানকরা পাকা সড়ক থেকে শ্রীহাস্য গ্রামের নোয়া বাড়ী পর্যন্ত শত বছরের পুরাতন মাটির রাস্তাটি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক “এডিবি” এর অর্থায়নে পাকা করণ কাজের শুরুতে কাজ বন্ধ করতে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করেছে পাশ্বর্বতী পানকরা গ্রামের ওয়াহিদুর রহমান সেলিম ভূঁইয়া-সহ কিছু দুষ্কৃতকারী। ফলে বহুদিনের জনদুর্ভোগ লাগবের সম্ভাবনার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে এবং ওই রাস্তায় চলাচলকরী শত-শত পরিবার চরম হতাশায় ভূগছে। এ ব্যাপারে বুধবার দুপুরে ভূক্তভোগীরা ওই রাস্তায় একত্রিত হয়ে বাধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীহাস্য গ্রামের উত্তর পাড়া নোয়া বাড়ীর শত-শত পরিবারের হাজার-হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে। বিগত দিনে এলাকাবাসী বহুবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তাদের কাছে গেলেও সড়কটি পাকা করণে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। সর্বশেষ চলতি অর্থ বছরে রাস্তাটির দিকে নজর পড়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির। সড়কটি এডিবি এর বরাদ্ধ থেকে পাকা করণের কাজ শুরুর উদ্যোগ গ্রহণ করলে পাশ্ববর্তী গ্রামের ওয়াহিদুর রহমান সেলিম ভূঁইয়া রাস্তাটি পাকা করণে বাধা দেয়ার অংশ হিসেবে বিভিন্ন অফিসে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দেয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে।
স্থানীয়রা বলেন, শতবছরের পুরতন সড়কটি দীর্ঘ দিন যাবৎ মেরামত না করায় বর্ষ মৌসুমে খানা খন্দক ও হাটু সমান কাদা হয়ে থাকে, ফলে স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থী, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী-সহ স্থানীয় জনগনের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বহু চেষ্টার পর চলতি অর্থ বছরে এডিভির বরাদ্দ থেকে মাটির রাস্তাটি পাকা করণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। রাস্তাটির কাজ শুরু হবে জেনে এলাকার কিছু দুষ্কৃতকারী রাস্তাটি কাজ যেন না হয় এ জন্য নামে বেনামে রাস্তাটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে কাজ বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। অভিযোগকারিরা বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া তাদের অভিযোগ রাস্তাটি তাদের কৃষি জমির উপর দিয়ে হচ্ছে বলে মিথ্যা বানোয়াট কথা উল্লেখ করে, অথচ ওই রাস্তাটি দিয়ে অন্তত একশত বছর যাবৎ ওই এলাকার মানুষ চলাচল করে আসছে। আমরা এ ব্যাপারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Leave a Reply