কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মক্রবপুর গ্রামে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া নেছার উদ্দিন নামে এক কিশোরকে প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরের মামার ৩টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, একটি মোটর সাইকেল ও নগদ ১লাখ ২০হাজার টাকা-সহ সর্বমোট ৩ লাখ টাকা নিয়ে গিয়ে ২দিন জিম্মি করে রাখে একই গ্রামের আইনজীবী সহকারী মোশারফ হোসেন। পরে মোশাররফ তার কিশোরী মেয়ে মাইশা আক্তার ফারিয়ার সাথে ওই ছেলেকে বিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন কিশোর নেছারের মা শাহেনা আক্তার মুক্তা ও মামা মোহাম্মদ হিরন। ওই কিশোর-কিশোরী মক্রবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। ২কিশোর-কিশোরীর এমন বিয়ের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
কিশোর নেছার উদ্দিন মক্রবপুর গ্রামের হাজী বাড়ির প্রবাসী ওমর ফারুকের ছেলে। নেছার উদ্দিনকে গত বৃহস্পতিবার বার থেকে জিস্মি করে রেখে শনিবার সকালে ১০লাখ টাকার দেনমোহর উল্লেখ করে বিয়ে পড়ানো হয়। এর আগে কিশোর নেছারের মামার মোটরসাইকেল কিশোরী ফারিয়ার ভাই-সহ মিলে মক্রবপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
কিশোর নেছার উদ্দিনের মামা মোহাম্মদ হিরন বলেন, আমার মোরগ ও মাছের খামার আছে, আমার ক্যাশ থেকে ভাগিনা নেছার উদ্দিন কে ভুলিয়ে-ভালিয়ে মোশারফ নগদ এক লাখ বিশ হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল ও আমার মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। এছাড়াও আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাগিনাকে তারা বৃহস্পতিবার থেকে জিম্মি করে রেখেছে।
নেছারের মা শাহেনা আক্তার মুক্তা বলেন, আমার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মাত্র নবম শ্রেণীতে পড়ে, তাকে ভুল-ভাল বুঝিয়ে আমার ভাইয়ের মালামাল সহ প্রায় তিন লাখ টাকার মতো নিয়ে যায়। আমার ছেলেটাকে জিম্মি করে মোশারফের মেয়ের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে বলে তাদের বাড়ির আশেপাশের লোকজনের কাছে জানতে পেরেছি। আমি এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি।
অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন মুহুরি বলেন, আমার মেয়ের সাথে নেছারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যার ফলে তারা দুইজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। আমি গতরাতে ওদেরকে হাজির করে দুই পক্ষ মিলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করি। কিন্তু ছেলের মামা কাবিন নিয়ে কথা কাটাকাটি করে চলে যায়। পরে তাদের বিযে হয়।
Leave a Reply