কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রশিদের (৫০) বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ওই নারী গত ৪ নভেম্বর কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ ও তার সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুপুত্রের পিতৃ পরিচয় দাবি করে মামলা করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে মামলাটি থানায় এজাহারভুক্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নাঙ্গলকোট থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলার বিষয়টি জানাজানি হয় বুধবার বিকেলে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ওই ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চেয়ারম্যানের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে যোগদান করেন। পরিবারের লোকদের অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন সময়ে চেয়ারম্যান তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে চেয়ারম্যান বিষয়টি বাইরে প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দেন এবং মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখান। একপর্যায়ে গত ২৩ অক্টোবর তিনি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন, সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তাঁকে হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমি চেয়ারম্যানের বাড়িতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজে যোগদান করি। তিনি আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে আমি গর্ভবতী হয়ে পড়লে চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানাই। তখন তিনি আমাকে হুমকি দিয়ে তাঁর নাম প্রকাশ করতে নিষেধ করেন। বাইরের অন্য কারও নাম বলতে বলে। চেয়ারম্যানের ধর্ষণের কারণে আমি গর্ভবতী হয়ে ২৩ অক্টোবর এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিই। আমি আমার সন্তানের পিতৃ পরিচয় দাবি করলে চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন আমাকে ও আমার সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে প্রাণনাশসহ নানা ধরনের হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ বলেন, ওই গৃহকর্মী একজন স্বামী পরিত্যক্তা। আমি দয়া করে তাকে আমার বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ করি। আমার প্রতিপক্ষের কু-পরামর্শে আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, বক্সগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে ৪ নভেম্বর এক নারী কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছে। আদালতের নির্দেশে থানায় মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলমান।
Leave a Reply